খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টুকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। বুধবার (২১ মে) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আল আমিন এ নির্দেশ প্রদান করেন। এর আগে সাবেক কাউন্সিলর পিন্টু খালিশপুর থানা বিএনপি অফিস ভাংচুর ও মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালতের সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বিকেল ৪ টা থেকে ৫ টার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, হকিস্টিক, রামদা, লোহার রড এবং লাঠি নিয়ে আসামি তালুকদার আব্দুল খালেক ও সাবেক এমপি এস এম কামালের নির্দেশে ওই দিন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বিএনপি অফিস লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। পরপর পিস্তল দিয়ে গুলি করতে থাকে। বোমা এবং গুলির বিকট শব্দে আশপাশের লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ওই এলাকা থেকে দৌড়ে পালাতে থাকে।
এরপর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নিউজপ্রিন্ট সংলগ্ন খালিশপুর থানা বিএনপি’র অফিসের ভেতর প্রবেশ করে লুটপাট করে। পরে তারা অফিসের দপ্তরে রাখা নগদ ১২ হাজার টাকা এবং মূল্যবান কাগজপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শেখ শাহিনুল ইসলাম পাখি বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টু ৬২ নং আসামি।
অপরদিকে একই থানা এলাকার বাইতিপাড়া বিএনপি অফিস ভাংচুর ও মারামারির ঘটনায় সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টুর বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, ইলিয়াজ হোসেন। তিনি এ মামলার ১ নং আসামি।
আদালত সূত্র আরও জানায়, বুধবার দুপুরে তিনি আত্মসমর্পণের জন্য আদালত চত্বরে আসেন। দুপুরে তিনি মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর এজলাসে গিয়ে আত্মসমর্প ণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
খুলনা গেজেট/এমএনএস